New Step by Step Map For আলু চাষের পদ্ধতি, NB Article, আলুর উৎপত্তি ও ইতিহাস এবং চাষের পদ্ধতি,স্বর্ণের ইতিহাস,ব্লগ,

৩। গাছ মরে যাওয়া এ রোগের লক্ষণীয় উপসর্গ৷

ভারত থেকে বিপুল পরিমাণ ভাঙা চাল কিনছে চীন

বীজ সংগ্রহের পর বীজ শোধন করতে হয়। এ জন্য বিশেষ কোনো ব্যবস্খা না করলেও চলে। যেমন কেউ কেউ কার্বেন্ডাজিম জাতীয় ছত্রাকনাশক ব্যবহার করে থাকেন। এ জাতীয় ছত্রাকনাশক বীজ আলু শোধনে ব্যবহার করলে ১ গ্রাম ছত্রাকনাশক ১ লিটার পানিতে মিশিয়ে ১ কেজি কাটা বীজ আলু ৫ মিনিট ডুবিয়ে রাখলে বীজবাহিত ছত্রাকঘটিত রোগজীবাণু ধ্বংস হয়। আলুর ঢলে পড়া ও গোড়া পচা রোগ প্রতিরোধে প্রতি লিটার পানিতে ১ গ্রাম হারে স্ট্রেপটোমাইসিন মিশ্রিত করতে হয়। বীজ আলু সংগ্রহের পর কাটার আগে আলো-বাতাস চলাচল করে এমন পরিষ্কার সমতল জায়গায় বস্তা খুলে আলু বের করে এক থেকে দেড় ফুট উঁচু স্তূপ বা হিপ করে ছড়িয়ে রাখতে হয়। মাঝে মধ্যে ওলটপালট করতে হয়।

ব্যবস্থাপনা: আক্রান্ত গাছ কিছুটা মাটিসহ সরিয়ে ফেলতে হবে। জমি গভীর ভাবে চাষ করতে হবে। জমিতে সব সময় জৈব সার প্রয়োগ করতে হবে।

• আলুর গা থেকে পানি বের হয় এবং পচন ধরে৷ ক্রমে আলু পচে নষ্ট হয়ে যায়৷

২%), ডাইথেন এম-৪৫ (০.২%) ইত্যাদি অনুমোদিত ছত্রাকনাশক ১০-১২ দিন পর পর সেপ্র করতে হবে।

পোকা চেনার উপায়: পূর্ণাঙ্গ কীড়া সাদাটে বা হাল্কা গোলাপী বর্ণের এবং ১৫-২০ মি.মি লম্বা হয়ে থাকে।

জমি হতে আলু তোলার পর সঙ্গে সঙ্গে অন্যত্র সরিয়ে নিয়ে সেগুলো ৭/৮ দিন ছায়ায় রাখা ভালো৷ এতে সুতলী পোকার ডিম পাড়া থেকে আলু রক্ষা পায় এবং সংরক্ষণকালীন সময়ে আলু অতি শীঘ্র জলীয় অংশ হারায় না৷ অধিকন্তু আলুর রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পাওয়ার ফলে আলু পচে যাওয়ার হাত থেকে রক্ষা যায়৷

৩৷ কীটনাশক প্রয়োগ করে পাতা ফড়িং দমন করতে হবে৷ এজন্য ডাইমেক্রন (০.১%) ৭-১০ দিন পর স্প্রে করতে হবে৷

আলু রোপণের উপযুক্ত সময় হলো নভেম্বর মাসের প্রথম সপ্তাহ থেকে শেষ পর্যন্ত। দিন পেছালে শীতে গাছের বৃদ্ধি কমে, গাছ খুব বেশি বড় হওয়ার আগেই টিউবার গঠন কাজ শুরু হয়ে যায়। এতে টিউবার সংখ্যা কমে যায়। শীতে ১৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের টিউবার গঠন ভালো হয়। ডিসেম্বর মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহ পর্যন্ত আলুবীজ রোপণ করা যায়, তবে ফলনও আনুপাতিক হারে কমে যায়।

জমিতে বীজ লাগানোর পরে দেখতে হবে ভালো রস রয়েছে কিনা যদি না থাকে সেই সময় সেচ দেওয়া অনেক ভালো। তবে দেখতে হবে খেতের মধ্যে পানি আছে কিনা। পানি থাকলে অবশ্যই এটি সরিয়ে ফেলতে হবে ক্ষেতের মধ্যে পানি রাখা যাবে না। খেয়াল রাখতে হবে পানিতে যেন ভেলির দুই বা তিন অংশ পানিতে ডুবে থাকে। ২০ থেকে ২৫ দিনের মধ্যেই ধানের বীজ বের হতে পারে। ৪০ থেকে ৪৫ দিনের মধ্যে আলুর গুটি বের হওয়ার সম্ভাবনা থাকে এরপর থেকে শুরু হয়ে যায় আলুর বৃদ্ধির সময়। এর পরে আস্তে আস্তে আলু বড় হতে থাকে। জমি থেকে যখন আপনি আলু উঠাবেন তা ঠিক ৭ থেকে ১০ দিন আগে মাটির সেচ প্রয়োগ বন্ধ করে দিতে হবে। আলু রিপনের পরে ৩০ থেকে ৫০ দিন জমিতে কোনোভাবেই রসের ঘাটতে এবং ৬০ থেকে ৬৫ দিন রসের পরিমাণ কোনভাবেই বেশি হওয়া যেতে দেওয়া যাবে না।

আলু উত্তোলনের পর বাড়িতে এনে সাথে সাথে কাটা, দাগি ও পচা আলু আলাদা করে বেছে ফেলতে হবে। তারপর ৭-১০ দিন মেঝেতে আলু বিছিয়ে রাখতে হবে। অতঃপর আবারও দাগি ও পচা আলু বেছে বাদ দিয়ে ভালো আলু বস্তায় ভরে হিমাগারে পাঠাতে হবে।

বীজ আলু উৎপাদনের ক্ষেত্রে আস্ত আলু বপন করা ভালো, কারণ আস্ত বীজ রোপনের পর এগুলোর রোগাক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা কম। আলু কেটে লাগলে প্রতি কর্তিত অংশে অন্তত ২ টি চোখ অবশ্যই রাখতে হবে। আলু কাটার সময় বারবার সাবান পানি দ্বারা ছুরি বা বটি পরিষ্কার করা উচিত যাতে রোগ জীবাণু get more info এক বীজ থেকে অন্য বীজে না ছড়ায়। বীজ আলু আড়াআড়িভাবে না কেটে লম্বালম্বিভাবে কাটতে হবে।

এগ্রোবাংলা কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *